বাড়িতে ৩০,০০০ টাকা উপার্জন করা যায়, এই ৭ টি উপায়ে – online earning Way

বর্তমান যুগের মানুষের জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজন প্রতিটি মানুষেরই রোজগার করা। কেউ যদি চাকরি করেন বা ব্যবসায় নিযুক্ত থাকেন তাদেরও দরকার পাশাপাশি আরোও একটি ইনকামের সোর্স বাড়ানোর। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আজ মানুষকে অর্থ উপার্জনের জন্য বাইরে না গিয়ে ঘরে বসেই ভালো টাকা আর্নিং (online earning) করা যায়। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এমনই ৭টি সেরা উপার্জনের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Online earning-এর বিভিন্ন আয়ের উৎসগুলির মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্সিং। এই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ভালো টাকা উপার্জন করা যায়। তবে এই উপার্জনের জন্য দরকার দক্ষতার। দক্ষতাগুলোর মধ্যে হল

১) কন্টেন্ট রাইটিং- একজন মানুষ বাড়িতে বসে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিবন্ধ লেখা, ব্লগ লেখা, SEO কন্টেন্ট লিখেও আয় করতে পারবেন। আর এই লেখার জন্য ব্যক্তির দরকার বিভিন্ন ভাষার উপর দক্ষতা।

২) ভিডিও এডিটিং- ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও বানিয়ে বহু মানুষ টাকা ইনকাম করছেন। আর এই ভিডিওগুলি এডিটিং এর জন্য দরকার ভালো ভিডিও এডিটরের। আর এই ধরনের কাজ করেও বহু মানুষ উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন।

৩) ভয়েস ওভার – বর্তমান সময়ের মানুষজন বিভিন্ন প্রোডাক্টের ভিডিও এড দেখে জিনিস কেনেন। তাই ভিডিও অ্যাডের জন্য প্রয়োজন হয় ভয়েস ওভার আর্টিস্টের। একজন ছেলে বা মেয়ের যদি সুমধুর কন্ঠ থাকে তাহলে তারা বাড়িতে বসে বিজ্ঞাপন কিংবা অডিওবুকের জন্য ভয়েস রেকর্ডিং করে আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য Fiverr, Upwork, Freelancer, Guru-এর মতো আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে, যেখানে প্রোফাইল তৈরি করে কাজ পাওয়া যায়। এছাড়াও ভারতবর্ষের জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মও রয়েছে যেমন Truelancer, WorkNHire-। এখান থেকেও বহু মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পেয়ে থাকেন।

৪. ইউটিউব শর্টস ও ভিডিও বানিয়ে আয় – বর্তমান সময়ে ইউটিউব শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়। বরং বর্তমান যুগের মানুষের কাছে এটি আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। AI টুলস, স্ক্রিপ্ট রাইটিং সফটওয়্যার, ভয়েস জেনারেটর করে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রতিমাসে আর্নিং করা যেতে পারে। ইউটিউব থেকে আয় করা হয় Google Adsense Revenue, Sponsorship, Affiliate Marketing এবং Product Promotion এর মাধ্যমে।

৫) গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়- Canva, Photoshop, Illustrator-এর মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিজাইন বা লোগো বানানোর কাজ যদি জানা থাকে তাহলে বর্তমান সময়ে লোগো ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন, ইনফোগ্রাফিক্স,বিজ্ঞাপনের পোস্টার,ওয়েডিং কার্ড ডিজাইন, ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইন প্রভৃতি কাজ করেও আয় করা যায়। Fiverr, Upwork ছাড়াও Etsy, Creative Market, Freepik-এ এই কাজগুলি বিক্রি করে আর্নিং করা যায়।

৬) অনলাইন টিউশনের মাধ্যমে আয়- অনলাইনে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে অনলাইনে টিউশন করে আয়ের মাধ্যম। বহু ছাত্রছাত্রীরা এখন টিউশন পড়ার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিয়েছে। Zoom, Google Meet, Microsoft Teams-এর মতো নানান অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষকরা ১-২ ঘণ্টা পড়িয়েই দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করছেন। অঙ্ক, বিজ্ঞান, ইংরেজি, বাংলা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, বিদেশি ভাষা, স্কিল বেইজড কোর্স (Digital Marketing, Graphic Design, Excel, Coding ইত্যাদি) করানো হয় অনলাইনের মাধ্যমে। জনপ্রিয় কিছু অনলাইন টিউশন প্লাটফর্মগুলি হল Vedantu, Unacademy, Chegg, Byju’s, UrbanPro।

৭) ব্লগিং করে মাসিক আয়- যে সকল ব্যক্তির লেখার প্রতি ঝোঁক রয়েছে তারা নিজস্ব ব্লগিং চ্যানেল ওপেন করেও ইনকাম করতে পারেন। এই ব্লগিং চ্যানেলে ঘরে বসে আয় করার উপায়, ভ্রমণ গাইড, প্রযুক্তির খবর, স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন শিক্ষামূলক টিপস, রেসিপি বা রান্নার ব্লগ লিখেও আয় করা যায়। এই আয়টা আসে মূলত Google AdSense, Affiliate Marketing Sponsored Post, Own Digital Product এর মাধ্যমে। মাসে প্রায় কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে।

পরিশেষে বলি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ৭টি উপায়ে আয় করার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন যে আয়ের মাধ্যমগুলো রয়েছে সেগুলি হল ডাটা এন্ট্রির কাজ, ই-বুক লিখে বিক্রি করার কাজ, বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ লিখে বা অনলাইনে কোর্স তৈরি করেও আয় করা যায়।