Primary TET – নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েই তোলপাড় সারা রাজ্য। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে (Teachers Recruitment Scam) কেন্দ্র করে একের পর এক আদালতের নির্দেশ সামনে এসেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন আমলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, অনেকেই জেলে বন্দি রয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলাতেই প্রায়শই নিত্যনতুন নির্দেশ সামনে আসছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এরকমই একটি মামলায় 269 জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ফলে তাদের চাকরি আদৌ থাকবে কিনা সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও এই মামলায় একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে কি প্রশ্ন উঠে আসতে দেখা গিয়েছে?
অভিযোগ উঠেছে, প্রথমদিকে এই প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ (Primary TET) প্রক্রিয়ায় না ডাকলেও পরবর্তীতে এসএমএসের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য বলা হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছে এই ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন। তার ফলে এই প্রাথমিক শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কি, নতুন করে তাই নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন – উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনে লাগবে আঁধার, নতুন নিয়মে কি কি লাগবে জেনে নিন।
এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি গেলে এদিন মামলাটি শুনানির জন্য (Primary Teachers Recruitment Case Hearing in Supreme Court) নির্ধারিত ছিল। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও বক্তব্য পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে অতিরিক্ত ১ নম্বর দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। এই বিষয়েই আদালতে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষকদের চাকরির ভবিষ্যৎ কি, তা জানতে হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তবে সাম্প্রতিককালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক নির্দেশ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে চর্চা শুরু হয়েছে। বেশ কিছু বিচারপতিদের রায় এবং পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে গেলে সেখানে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের ইন্টারভিউ (Primary TET Interview) প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বহাল রাখে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি যাওয়ার পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই মামলাটি ফের হাইকোর্টের অন্য বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে বিচারের জন্য পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে এক্ষুনি ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। ঠিক সেভাবেই 269 জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই।
আরও পড়ুন – শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় বন্ধন ব্যাংকে অসংখ্য পদে কর্মী নিয়োগ ! বিস্তারিত জেনে নিন