শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) তোলপাড় গোটা রাজ্য। বছর বছর ধরে দুর্নীতির আভাস মিলছে বঙ্গে। এর আগে একজোটে বহু প্রার্থীর চাকরি বাতিল করেছিল আদালত। অযোগ্যদের স্কুলে স্কুলে নিয়োগ ঠেকাতে বাতিল হয়েছিল হাজার হাজার চাকরি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরো ২৫,৭৫৩ জন প্রার্থীর নাম। হাইকোর্টের রায়ের পর শোরগোল পড়ে গেল সর্বত্র। SSC নিয়োগে চাকরি বাতিল হল এত সংখ্যক প্রার্থীর। মেয়াদ উত্তীর্ণ চাকরির বেতন ফেরত দিতে হবে সমস্ত চাকরিহারাদের।
SSC Recruitment Scam কাদের চাকরি গেল?
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) বাতিল করা হল সমস্ত চাকরি। ২০১৬ সালের স্কুল এসএসসির সমস্ত নিয়োগকে বাতিল করেছে আদালত। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগে যে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মিলেছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হাইকোর্টের। বাতিল করা হলো সমস্ত চাকরি। হাইকোর্টের নির্দেশ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পর আর কোন চাকরি বৈধ নয়। তাই চাকরি হারাদের ফেরত দিতে হবে এত দিনের বেতন।
১২ শতাংশ সুদে বেতন ফেরত দিতে হবে তাঁদের। চাকরি হারাদের হাতে রয়েছে মাত্র এক মাস। চার সপ্তাহের মধ্যে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে তাদের। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পর কপালে ভাঁজ চাকরিহারা প্রার্থীদের। এত কম সময়ের মধ্যে কিভাবে জোগাড় হবে টাকা? যদিও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ তাঁরাও।
পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি (West Bengal SSC recruitment scam) কাণ্ডে হাইকোর্টের রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। হাইকোর্টের নির্দেশ, শুধুমাত্র চাকরি বাতিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ চাকরির বেতন ফেরত দিলেই হবে না। চাকরিহারাদের ও এমআর শিট আপলোড করতে হবে এসএসসি সার্ভারে। এসএসসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একে একে আপলোড করতে হবে সমস্ত পরীক্ষার্থীর খাতা। জনগণের সামনে উক্ত প্রার্থীদের পরীক্ষার খাতা উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ একদিকে যেমন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ, তেমনিই ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের কাছে বিরাট ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
আরও পড়ুন – WBJEE Admit Card 2024 – জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশনের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হল
প্রসঙ্গত, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দীর্ঘ আন্দোলন চালানো চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্টের রায়ের পর নতুন শূন্যপদের দিশা দেখতে পাওয়ায় চাকরির আশায় বুক বেঁধেছেন। এবার অন্তত তাদের অবস্থার উন্নতি হোক। হাজার হাজার শূন্যপদ
পড়ে রয়েছে! শিক্ষিত প্রার্থীরা নিয়োগ পাক এবার। হাতে জোর করে মিনতি করছেন তাঁরা। আদালত কি দেখবেন তাঁদের? দুর্নীতি কান্ডে চাকরি বাতিল তো হচ্ছে, কিন্তু নতুন সৃষ্টি হওয়ার শূন্যপদে এবার কি অন্তত চাকরি পাবেন আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা? এই সকল প্রশ্নের উত্তরের আশায় দিন গুনছেন তাঁরা।