Coronavirus update: দেশব্যাপি অতিমারীর প্রভাবের কারনে বিগত দুবছরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। শুধুমাত্র ব্যবসায় নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছিল শিক্ষা ব্যবস্থাও। লাগামহীন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ করোনা বিধিনিষেধ জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অতিমারি যাতে ছড়িয়ে নানপড়ে তার জন্য স্কুল, কলেজ, ট্রেন, সিনেমাহল সহ সব কিছুই বন্ধ করা হয়েছিল।
অতিমারীর প্রভাবে পড়ুয়ারা যাতে অসুস্থ না হয়েছে পড়ে, তার জন্য সমস্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল।দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করা হয়েছিল। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে,স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এসব নিয়ে সকলকে সচেতন করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল রাজ্যের স্কুলগুলি।
এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়াতে রাজ্যের সমস্ত স্কুল খুলে দেওয়া হয়। এবছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে অফলাইন মাধ্যমেই হয়। কিন্তু আবার হয়ত সেই দিন ফিরে আসতে চলেছে। আবার সকল মানুষকে ঘর বন্দি থাকতে হবে। ঘরবন্দি থাকার সেই ভয়ানক দিনগুলি আবার ফিরে আসতে চলেছে। উৎসবের মরসুমে দেশের করোনা সংক্রমণ আবার উর্ধমুখী।যার জেরে আবার লকডাউন হতে পারে।
কথায় আছে এক মাঘে শীত যায় না,এই কথাটা সত্যি।সত্যিই তো এক মাঘে শীত যায় না, তাই বছর বছর ঘুরে ফিরে আসা। টানা দু’বছর কোভিড অতিমারীর দরুন স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল। ২০২২ এর ফেব্রুয়ারীতে আবার সব কিছু স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়। কিন্তু উৎসবের মরসুমে দেশে আবার করোনা সংক্রমণ উর্ধমুখী হচ্ছে। যা নিয়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে আমজনতা সকলের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ।
অনেকের আশঙ্কা কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আবার সেই ভয়ানক দিনগুলি ফিরে আসতে পারে। পারদ পড়তেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। হারাষ্ট্র থেকে ভারতবর্ষে করোনা সংক্রমণ উর্ধমুখী হওয়া শুরু হয়। আগের ৩টি ঢেউ এর ক্ষেত্রে তেমনই দেখা গেছে। এবার সেই মহারাষ্ট্রে কোভিডের বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে ভাবাচ্ছে। দেশে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার মারাত্মক সব ভ্যারিয়েন্ট যা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মহারাষ্ট্রে হদিশ ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের (করোনা ) অতি বিপজ্জনক সাব ভ্যারিয়েন্ট এক্স বি বি (XBB) এর হদিশ মিলেছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যদপ্তর এর রিপোর্ট অনুযায়ী সেই রাজ্যে এখনো অবধি মোট ১৮ জনের শরীরে এই ভয়ানক ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গেছে। করোনার এই মারাত্মক সব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
অন্যদিকে দেশেও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। যে সংক্রমন ২০০০ এর নিচে ছিল, গত ২৪ ঘন্টায় তা বেড়ে ২৪৪১ হয়েছে। তবে স্বস্তির খবর দেশে এক্টিভ রোগীর সংখ্যক কমেছে। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৫,৫১০ জন। দেশে শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনাতে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।এই পর্যন্ত দেশে করোনাতে মোট ৫,২৮,৯৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের মনে প্রশ্ন উঠছে করোনা সংক্রমন এরকমভাবে বাড়তে থাকলে আর কতদিন সব কিছু স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে। একাংশের মতে সংক্রমণ এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে আবার লকডাউনের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে সবার আগে স্কুল কলেজ বন্ধ হতে পারে। অতিমারীর প্রভাবে পড়ুয়ারা যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে
করোনা পরিস্থিতির কারনে দীর্ঘ ২ বছর পঠন পাঠন বন্ধ ছিল। এর জন্য রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে যদি আবার স্কুল কলেজ বন্ধ হয় তবে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙে পড়বে। শিক্ষাবিদদের একাংশ এই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের সূত্রে জানানো হয়েছে সমস্ত কোভিড বিধি মেনে চলতে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়। সেই সঙ্গে সরকারের তরফে টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই অতিমারির কারনে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।