Primary TET – এসএসসি দুর্নীতি এবং শিক্ষকদের চাকরি হারানো নিয়ে মামলা চলছে প্রায় বহুদিন ধরে। বেশ কিছুদিন আগে এই মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেউ। সেই মামলা কিছুদিন আগে নতুন মোড় নিয়েছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary TET) চাকরি বাতিল নিয়ে এক নতুন রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন এক বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
তিনি মনে করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেয়ার রায় এবং নতুন রায়ের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন যে এই ৩২ হাজার প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেয়া হবে। কিন্তু বিচারপ্রতি সুব্রত তালুকদারের দেওয়া নতুন রায় অনুযায়ী এটিকে স্থগিত করা হয়েছে এবং তার বদলে এই ৩২ হাজার শিক্ষককে পার্শ্ব শিক্ষকের গ্রেড এ মাইনে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবে অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথামতোই চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ (Primary TET Interview) নিয়ে তার মেধা তালিকা তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন এই নতুন ডিভিশন বেঞ্চ ও।
নতুন ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী 2016 সালে যারা ইন্টারভিউ দিয়েছিল তাদেরকে আবারো পুনরায় নতুন করে ইন্টারভিউ দিতে হবে। ২০১৪ সালে যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার করেছিল তাদের মধ্যে যারা প্রশিক্ষিত ছিল না কিন্তু বর্তমানে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তারাও এই ইন্টারভিউ তে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এর ফলে ইতিমধ্যেই যে ৩২ হাজার শিক্ষক রয়েছেন তারা আরো বেশি চাপের মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু যাই হোক এই এসএসসি এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলায় দিন দিন নতুন মোর নিতেই থাকছে। কোর্টে পেষ হচ্ছে রোজ নতুন নতুন দুর্নীতি। বর্তমানে প্রচুর প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক গ্রুপ সি ডি কর্মীরা তাদের চাকরি হারাচ্ছেন। এই মামলার রায় শেষ অব্দি হতে চলেছে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে চাকরিপ্রার্থী চাকরিহারা পরীক্ষার্থীসহ সমস্ত সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন – 2000 Notes Withdrawn – নোট বন্দীর ইতিহাসকে উসকে দিয়ে বন্ধ হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট !
তবে এই মামলা থেকে বিজাপুর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে সরিয়ে দেওয়াকে এক নতুন দুর্নীতি (Primary TET) বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেরই দাবি এই মামলা থেকে অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায় সরিয়ে দেওয়ার কারণ নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) মামলায় সমস্ত ঢাকার চেষ্টা। তবে যাই হোক এখন সব থেকে বড় দেখার বিষয় হলো এটাই যে এই ৩২ হাজার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের শেষ পর্যন্ত কি হয়। কাজের চাকরি কি বহাল তৈরি হতেই থাকবে নাকি তারা চাকরি হারাবে এই নিয়ে তাদের মনে এক ভয় থেকেই যাচ্ছে।