Primary TET Interview- শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা পশ্চিমবঙ্গে অব্যাহত। প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় পাশ করার প্রায় বছর দশ কেটে গেলেও চাকরির অভাবে অসন্তোষ বেড়েছে প্রার্থী মহলে। বারংবার পথে বিক্ষোভে নেমেছে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা। চলেছে ধর্মঘট, আন্দোলন। টেট পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও ইন্টারভিউর ডাক পাননি তাঁরা। একবার ইন্টারভিউ (Primary TET Interview) শুরু হলেও মাঝ পথে তা থেমে যায়। আদালতে এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, বছর বছর টেট পাশের (Primary TET Exam) সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু চাকরি কোথায়? নিয়োগ নিয়ে কোনো বার্তাই নেই সরকার তরফে। এদিকে বহু প্রার্থীর বয়স উর্ধ্বসীমা ছাড়িয়েছে। আগামী দিনে চাকরিতে যোগ দেওয়াও সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ! এই পরিস্থিতিতে একমাত্র উপায় আদালতের নির্দেশ। সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের মুখ চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
Primary TET Interview নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার (Primary TET Exam 2014) পর কেটে গিয়েছে প্রায় দশ বছর। ২০২৪ সালের কোটায় দাঁড়িয়েও নিয়োগ পাননি বহু চাকরিপ্রার্থী। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চারজন প্রার্থী আদালতে দায়ের করেছিল মামলা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা দেওয়ার পর ২০১৫ সালে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে জানতে পারেন যে তাঁরা টেটে পাশ করতে পারেননি। এর আগেই টেটের ভুল প্রশ্ন নিয়ে আদালতে উঠেছিল মামলা।
Primary TET Exam-এ ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টে
সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁদের ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের বাড়তি ছয় নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। পরে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কিছু জন। মামলা ওঠে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। এরপর মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
শীর্ষ আদালত মামলাটি ফেরত পাঠায় কলকাতা হাইকোর্টে। ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ টেট পরীক্ষার ছয়টি ভুল প্রশ্নে প্রার্থীদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর সেই নম্বর পাওয়ার পরই ওই চারজন প্রার্থী পাশ করেন টেট পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, টেট পাশ করা সত্ত্বেও ইন্টারভিউর ডাক পাননি তাঁরা। অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন উক্ত চারজন।
তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা প্রশিক্ষিত প্রার্থী। ফলে আদালতের নির্দেশানুসারে তাঁদের ইন্টারভিউতে ডাক (Primary Tet Interview Date) পাওয়াই উচিত। যেহেতু তাঁরা যোগ্য, তাই আদালতের কাছে তাঁদের অনুরোধ ছিল তাঁদের ইন্টারভিউতে সুযোগ দেওয়া হোক। মামলাকারীদের বক্তব্য শুনে রায় জানিয়েছে উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে ওই চারজন চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ নিতে হবে। এই মর্মে নির্দেশ গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে। হাইকোর্টের নির্দেশ শুনে মুখে হাসি ফুটেছে চারজন মামলাকারী প্রার্থীর।