Kolkata-Siliguri Rail Service: ভারতীয় রেলের ইতিহাস প্রায় দুই শতাব্দীর! কয়েক হাজার কিলোমিটারের রেলপথ ভারতীয় স্থানগুলিকে এমনভাবে সংযুক্ত করেছে যে দেশের যাতায়াত মাধ্যমের ‘লাইফলাইন’ হিসেবেই বিবেচিত হয় রেল। বিশালাকার এই রেলওয়ে নেটওয়ার্ক দেশের বেশ কিছু দূরবর্তী স্থানকে সংযুক্ত করেছে।ভারতীয় রেলওয়ে হল এশিয়ার বৃহত্তম এবং পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক।
ভারতীয় রেলের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫৯৮১ কিমি। ভারতে সাত হাজারের বেশি রেল স্টেশন রয়েছে এবং ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৪৩০০ টি ট্রেন ট্র্যাকে দৌড়ায়। ভারতীয় রেল (Indian Railways) দশকের পর দশক ধরে সবাইকে সেবা করে আসছে। দূরের হোক বা কাছের যে কোন গন্তব্যে পৌঁছাতে ভারতীয় রেলওয়ে একমাত্র আদর্শ উপায় (Kolkata-Siliguri Rail Service) ।
যত দিন যাচ্ছে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা তত উন্নত হচ্ছে। এবার দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে অনেকটা সময় কম লাগতে পারে। কয়েক মাসের মধ্যেই দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গে রেলসফরের সময় কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ রেল সফরের (Kolkata-Siliguri Rail Service) সময় অন্তত তিন ঘণ্টা কমতে পারে। ভারতীয় রেল সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে আজিমগঞ্জ-নসিপুর রেল ব্রিজের বাকি অংশের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
আর সেই কাজ শেষ হলে পরেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধয়ে (Kolkata-Siliguri Rail Service) রেলপথে যোগাযোগ আরও মসৃণ হবে। ফলে সময় কম লাগবে অনেকটাই।যতদূর জানা যাচ্ছে চলতি বছরের শেষের দিকে ব্রিজের কাজ শেষ করতে নামবেন রেলকর্মীরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের এপ্রিল-মে মাসে ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর তার পরই রেল চলাচল শুরু হবে।
মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ গত বছর পূর্ব রেলের জিএমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি নিজেই সেই কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি জানান সেই সময় আমাকে তারা জানায় যে ব্রিজের ফাইলটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপর ডিসেম্বর মাসে দেখা করি রেলমন্ত্রীর সাথে। রেলমন্ত্রী তখন তাঁকে ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
পাশাপাশি এই বিজেপি বিধায়কের দাবি যে পরিমাণ জমির জন্য প্রকল্পটি থমকে আছে সেই জমির মালিক অর্থাৎ কৃষকরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে তাদের এই বিষয়ে কোন আপত্তি নেই। এই বছর নভেম্বর মাস থেকে ব্রিজের বাকি অংশের কাজ শুরু করতে পারে রেল দপ্তর। বিধায়কের আশা কাজ সম্পূর্ণ হলে আগামী বছর মার্চ- এপ্রিলের মধ্যেই এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল শুরু করবে ট্রেন।
দীর্ঘদিন ধরেই এই পথে রেল প্রকল্প শেষ করার ক্ষেত্রে জট থেকে গিয়েছে। মাত্র ৪৬২ মিটার জমি নিয়ে যাবতীয় জট ছিল। এদিকে ২০০৪ সালে ৪৬.৭০ কোটি টাকার এই রেল প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল। ভাগীরথী নদীর উপর এই সেতুর উপর দিয়েই চলবে ট্রেন। ২০১০ সালে এই পথে রেল চলাচল হওয়ার কথা ছিল। এটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনকে আর বর্ধমান দিয়ে ঘুরে যেতে হবে না।
শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে ট্রেনে চাপলে বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ হয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গে।এই রুটে প্রায় ১১৩ কিমি দূরত্ব কমে যাবে।কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার সময়ের হিসেবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় কমবে।
এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল (Kolkata-Siliguri Rail Service) যোগাযোগে একটা বড় রূপান্তর ঘটে যাবে। কারণ যাত্রা সময় কমে যাবে প্রায় তিন ঘন্টা। ফলে এই নিয়ে উৎসাহ গোটা রাজ্যে। পাশাপাশি এই সেতু চালু হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদের ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হবে। কারণ সেতু চালু হলে আজিমগঞ্জে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন থামবে বলেই আশা করা হচ্ছে।