সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বকেয়া অর্থ নিয়ে এক বিরাট সুখবর। সরকারি দলকে জানানো হলো এমন এক নতুন খবর যা শুনলে খুশি হয়ে যাবেন আপনিও। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর তরফে নির্দেশ দেওয়া হল যে স্কুল শিক্ষকদের সমস্ত বকেয়া অর্থ যেন মিটিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। এবং যদি এ সংক্রান্ত কোন মামলা থাকে সেই মামলা যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করা যায় সেই দিকেও নজর দিতে বলেছেন শিক্ষা দপ্তর।
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছে প্রায় এই খাতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে সরকারের। এই নতুন নির্দেশে উপকৃত হতে পারেন প্রায় ৭০ হাজার মতো শিক্ষক শিক্ষিকা। তিন বছরের কম সময়ের বকেয়া গুলি স্কুল পরিদর্শকরা শিক্ষকদের ক্লিয়ার করে দিতে পারবেন এবং তিন বছরের পুরানো বকেয়া হলে সেগুলি সরকার বিকাশ ভবন তরফে ক্লিয়ার করবে।
আরও পড়ুন – কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা ৩৬০০ টাকা পাবেন, বিস্তারিত জেনে নিন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে এত টাকা বকেয়া হলো কিভাবে?
অনেক সময় শিক্ষকদের নিয়োগপত্র পেতে দেরি হয় তার ফলে তাদের মাইনে বাকি থেকে যায়। আবার নিয়োগপত্র পেয়ে যাওয়ার পরও অনেক সময় তারা ঠিকঠাক সময়মতো তাদের বেতন পান না সে কারণেও তাদের বেতনে বকেয়া পড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর তাদের ইনক্রিমেন্ট হয় সেই সময় তাদের বেতন বেশ কিছুটা বেড়ে যায় কিন্তু তারা সেই বাড়তি বেতন পান না যার ফলে তাদের বেতনে বাকি থেকে যায়।
তবে অনেকে মনে করছেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরকারের এ ধরনের ঘোষণা করা শুধুমাত্র ভোটে জেতার একটি টেকনিক মাত্র। আবার অনেকে মনে করছেন সরকার আর বেতন সংক্রান্ত কোনো রকম মামলা কোর্টে রাখতে চান না তাই তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে যে কারণেই এই সিদ্ধান্ত হোক না কেন এটি যদি সত্যি তাড়াতাড়ি বাস্তবতা হয় তাহলে এটিতে উপকৃত হবেন প্রায় ৭০ হাজারের বেশি সরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। যদিও শিক্ষকদের বকেয়া মেটানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটি যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই ভালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মনে করা হচ্ছে হয়তো সরকারি নির্দেশ মত খুব শিগগিরই শিক্ষকরা তাদের বাকি বেতন হাতে পেয়ে যাবেন। তবে পুরো বিষয়টি এখন সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন – বেআইনি ভাবে চাকরি, বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।