PM Shramyogi Mandhan Yojana: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হবার পর ভারতবাসীদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের সৃষ্টি করেছেন। তার সৃষ্ট প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, শ্রম যোগী মানধন যোজনা (PM-SYM)। আজকে আমরা শ্রমযোগী মান ধন যোজনা প্রকল্পটির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব এই লেখার মাধ্যমে।
Pradhan Mantri Shramyogi Mandhan Yojana কি?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকল সময় ভারতবাসীর কল্যাণের কথা চিন্তা করেন। আর এই কথা ভাবার জন্য তিনি ভারতবর্ষের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য এক এক ধরনের প্রকল্পের সৃষ্টি করেছেন। আজকে আমরা মান ধন যোজনা (PM-SYM) নামে যে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করব সেই প্রকল্পটি হল শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের জন্য। শ্রমিকরা ব্যতীত অন্য কাজের সাথে যুক্ত মানুষেরা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন না।
আরও পড়ুন – Yogyashree Scheme: রাজ্যের নতুন প্রকল্প যোগ্যশ্রী স্কিম, রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য খুশির খবর
বহু মানুষকে অন্ন যোগানোর জন্য দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে হয়। অল্প বয়সে দিনমজুরের হিসেবে বহু পরিশ্রম মানুষে করতে পারলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিন্তু মানুষের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। একটা বয়সের পর এই শ্রমিক শ্রেণীর মানুষরা আর কোনো কাজ পান না এর ফলে বৃদ্ধ বয়সে তাদের সংসার চালানো অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। বৃদ্ধ শ্রমিকদের অভাব অনটন দূর করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের সাহায্যের জন্য যে প্রকল্পটি সৃষ্টি করা হয়েছে তার নাম শ্রম যোগী মান ধন যোজনা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি শ্রমিকরা প্রতিমাসে ৫৫ টাকা করে ৬০ বছর পর্যন্ত জমা দিলে পেনশন পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে কেন্দ্র সরকার। অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ৬০ বছর পার হলে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে কেন্দ্র সরকার তাকে পেনশন দেবে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের পারিবারিক আয় প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা হতে হবে
আরও পড়ুন- Mid Day Meal: ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু মিড ডে মিল নয় এবার মিলবে আরও অনেক কিছু
এই প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি বেশ সহজ রয়েছে। যে সকল ব্যক্তিরা শ্রম যোগী মান যোজনার আওতায় আসতে চান তাঁরা প্রকল্পের আবেদনের জন্য নিকটস্থ পঞ্চায়েত অফিস বা শ্রম দপ্তরে গিয়ে আবেদন জমা দিতে পারবেন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস দিতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস গুলির মধ্যে রয়েছে গ্রাহকের আধার কার্ড কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কপি প্রভূতি।