Primary tet 2014 court case update : এসএসসি ও টেট নিয়োগে যতদিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে।এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগেও একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠছে।এসএসসি দুর্নীতিতে একদিকে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। এই দুর্নীতির জেরে পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল হয়েছে।এমনকি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে বেতন বাবদ পাওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে।
এবার বেনিয়মের কথা স্বীকার করে নিল পর্ষদ। মেনে নিল অঙ্কিতার চাকরি হয়েছে পরীক্ষায় না বসেই।অঙ্কিতা নাকি পরীক্ষাতেই বসেননি। এই প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, মামলাকারী ববিতার নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও ‘লজ্জাজনক ভাবে’ অঙ্কিতাকে ওই তালিকায় এক নম্বরে এনে চাকরি দেওয়া হয়েছিল (Primary tet 2014 court case update)। অঙ্কিতাকে চাকরি দেওয়া না হলে ববিতা পেতেন। কারণ তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে ছিল। অঙ্কিতা এক নম্বরে আসায় ববিতার নাম যায় ২১ নম্বরে।
ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার থেকে কেড়ে নেওয়া চাকরি পাবেন ববিতা সরকার। পর্ষদকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ববিতা সরকারকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। এমনকি অঙ্কিতা প্রথম কিস্তি অনুসারে যে টাকা ফেরত দিয়েছেন সেই টাকা ১০ দিনের মধ্যে ববিতাকে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।(Primary tet 2014 court case update) শুক্রবার এসএসসি সংক্রান্ত মামলায় প্রথমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্বীকার করে নিল যে অঙ্কিতা অধিকারী কোন ইন্টারভিউতে বসেননি। ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকুরি হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই নতুন অভিযোগ উঠছে। বিচারপতির ধমক আর তিরস্কার শুনতে শুনতে কান ব্যাথা হয়ে গিয়েছে পর্যদের আইনজীবীদের। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে কই? হাতে নাতে প্রমান হওয়ার পরেই সিবিআই রদন্ত থেকে বাঁচতে অভিযুক্তরা কেউ ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন কেউ আবার সুপ্রিম কোর্টে।(Primary tet 2014 court case update) প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি যেন প্যান্ডোরার বাক্স। যতদিন এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
টেট দুর্নীতির জেরে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টেট নিয়োগ দুর্নীতির (Primary tet 2014 court case update) মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আর এরই মাঝে সামনে এল টেট নিয়ে আরও এক দুর্নীতির ঘটনা। অভিযোগ টেট পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এক নাবালককে।প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানিতেই তাঁরা বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে চলেছেন।এর জেরে প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সূত্রের খবর টেটে পর্ষদের বিরুদ্ধে মামলাকারীরা এবার এই নতুন অস্ত্র প্রয়োগ করতে চলেছেন।পর্ষদ এক নাবালককেও শিক্ষকের চাকরির পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিল। যদিও সে অকৃতকার্য হয়।তবুও তার হাতে আসে চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। পর্ষদ তাকে ২০১৭ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করার নিয়োগপত্র দেয়। সেই নাবালক প্রাথমিকে শিক্ষকতা করছেন পুরোদমে, বেতনও নিচ্ছেন।
যে নাবালকের বিরুদ্ধে টেটের পরীক্ষায় বসার অভিযোগ বাড়ি পূর্ব বর্ধমান।এই নাবালক ২০১৪ সালে যখন টেট পরীক্ষায় বসে তখন তাঁর বয়েস ছিল ১৬ বছর ৯ মাস। অর্থাৎ সাধারণ হিসেবে তখন তার একাদশ শ্রেণীতে পড়ার কথা। অভিযোগ এই নাবালক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। পরে টাকার বিনিময়ে ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরির নিয়োগপত্র দেয় পর্ষদ।সূত্রের খবর এমন নাবালকের সংখ্যা নাকি ১-২ জন নয়, অন্তত ২০ জন।