Primary TET – নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদের জারি করলেও এই সমস্ত শিক্ষকরা তাদের চাকরিতে জয়েন করতে পারছেন না। কিন্তু কেন সুপ্রিমকোর্ট বলার পরেও তারা তাদের চাকরি জয়েন করতে পারছেন না এই নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন একদল চাকরিহারা প্রাথমিক শিক্ষকেরা।
তবে শিক্ষক নিয়োগে (Primary TET) এই একটি মামলা নয় একের পর এক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে এবং প্রত্যেকটি মামলায় রোজ নতুন নতুন রায় দিচ্ছে বিচারপতিরা। কখনো কাটা মার্কসের নতুন করে লিস্ট তৈরি করতে বলা কখনো নতুন করে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া কখনো ইন্টারভিউ (Primary TET Interview) প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন কখনো বা dled করছে ভর্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করছে কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশ প্রায় বাতিল হল ৩২ হাজার চাকরি Primary TET -এ!
ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের চাকরি যেতে চলেছে। কিন্তু অনেকের মনে এখন প্রশ্ন এদের বদলে কারা চাকরি পাবে? কিন্তু বর্তমানে এই ৩২ হাজার চাকরি যাওয়ার পরেও নতুনরা এখনো অব্দি কোন চাকরি পাচ্ছেন না। রাজনৈতিক কারণই হোক অথবা আদালতের কেসের (Primary TET case) প্রবলেম তবে বর্তমানে আটকে রয়েছে নতুন চাকরির সুবিধাও। অনেকের চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে, আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন। মেধাবী হওয়া স্বত্তেও বেকার বসে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন –WB DA news – তবে কি মুখ্যমন্ত্রী DA ঘোষণা করবে? ডিএ নিয়ে কি বললেন জানুন।
তবে এই মামলা বারবার নতুন মোড় নিচ্ছে কখনো কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ কোন একটি নির্দেশ দিলে, সেই নির্দেশ আবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বদলে যাচ্ছে। আবার সুপ্রিম কোর্ট কোনো একটি নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ মতো ঠিকঠাক মত কাজ করছে না কেউ। যার ফলে সেই ৩২ হাজার শিক্ষকেরা এখনো অব্দি তাদের চাকরিতে ফিরতে পারছেন না।
প্রাইমারী টেট (Primary TET Case) মামলায় প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি হারা 269 জন প্রার্থীকে ফের চাকরিতে বহালের নির্দেশ দেয় বোর্ড। সুপ্রিম কোর্টের থেকে নির্দেশ আসার পরেই বোর্ডের তরফে এটি করা হয়। অন্যান্য সমস্ত জেলায় বোর্ডের এই নির্দেশে চাকরি হারা শিক্ষকরা ফের চাকরিতে যোগ দিলেও, শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুর জেলায় চাকরিহারা প্রার্থীরা পুনরায় চাকরিতে বহাল হতে পারছেন না। কার্যত এখানে দেখা যাচ্ছে আলাদা দৃশ্য। তবে এই সমস্যা নিয়ে শিক্ষকেরা দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও তাদের সমস্যার কোন সূরা হচ্ছে না তারা কোন মতেই তাদের পুরনো চাকরিতে জয়েন করতে পারছেন না। তাই তারা সেই নিয়ে বর্তমানে বিক্ষোভ-এ সামিল হয়েছেন।
এরই মধ্যে আবার নতুন করে প্রাইমারি টেট (Primary TET) নিয়ে মামলা উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। আবার ২০১৪ সালে টেট পাস (Primary TET 2014) করার পরীক্ষার্থীদের নতুন করে ইন্টারভিউতে ডাকা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ইন্টারভিউতে (Primary TET Interview) ডাকার পরেও কি তারা নতুন করে নিয়োগপত্র পাবেন? এতকিছু হওয়ার পরও কি নতুনরা চাকরি পাবেন এ নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন –DA Hike – সরকারি কর্মচারীদের খুশির খবর ! এই মাসে বেতন কত টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে জানুন।