Summer Vacation – রাজ্য জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। তীব্র দাবদাহের কারনে সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। এই কাঠ ফাটা তাপপ্রবাহের কারনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল,কলেজের গরমের ছুটি (Summer Vacation) ঘোষণা করেছেন। গরমের ছুটি সাধারণত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দেওয়া হয়, সেটা এগিয়ে একেবারে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করা হয়েছে। এর আগেও একেই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দিন সাতেকের জন্য সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ জুন খোলার কথা ছিল, কিন্তু তার মধ্যেই ফের ব্যাপক গরমের কারনে আবার সেই আগের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী আবার গরমের ছুটি (Summer Vacation) বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকার ১৪ জুন পর্যন্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেন, অর্থাৎ আগামী ১৫ জুন স্কুল,কলেজ খুলবে। রাজ্য সরকারের ছুটি বৃদ্ধির বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক শিক্ষিকা। ওই শিক্ষিকা আদালতে ছুটি বাতিলের আবেদন জানান।
আরও পড়ুন – LIC investment – মাত্র ৪৫ টাকা বিনিয়োগে মিলবে ২৫ লাখ রিটার্ন! এক্ষুণি ইনভেস্ট করুণ এই পলিসিতে।
Summer Vacation কাটিয়ে কবে খুলবে স্কুল?
ওই শিক্ষিকার বক্তব্য এমনিতেই করোনা পর্বে প্রায় দেড় বছর স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় পড়াশোনা হয়নি। অতিমারির কারনে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এর পরেও নানা অছিলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে, এতে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘদিন গরমের জন্য স্কুল বন্ধ রয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার আবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে ছুটি (Summer Vacation) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। এরকম চললে পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই ওই শিক্ষিকা আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আদালত অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিক।
হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা কোন পথে?
মঙ্গলবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। ছুটি বাতিলের আরজি নিয়ে এক শিক্ষিকার করা মামলা মঙ্গলবার খারিজ করে দিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি (Summer Vacation) বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
এদিন মামলা খারিজের পাশাপাশি মামলাকারী শিক্ষিকার আইনজীবীর কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, মামলাকারী কে? আইনজীবী জানান তিনি একজন শিক্ষিকা। তখন মামলাকারী শিক্ষিকার আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন ওই শিক্ষিকাকে বলুন আগে আদালতে ৫০ লক্ষ টাকা জমা করতে। তারপর উনি দায়িত্ব নিয়ে গ্রামের স্কুলগুলি চালানোর ব্যবস্থা করুন। যদিও আদালত ওই শিক্ষিকাকে কোনও জরিমানা করেনি।
আরও পড়ুন – College admission 2023 – কলেজে ভর্তি নিয়ে সমস্ত তথ্য জানালো রাজ্য সরকার!