Students Week – গত মঙ্গলবার শিক্ষা দপ্তর থেকে নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্টুডেন্ট উইক পালন করার জন্য। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের ২-৮ তারিখ পর্যন্ত এই স্টুডেন্ট উইক (Students Week) পালন করতে হবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে। কেন এই স্টুডেন্ট উইক (Students Week) পালন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
Students Week in January 2024
প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২ রা থেকে ৮ ই জানুয়ারি পর্যন্ত স্টুডেন্ট উইক পালন করতে হবে। রাজ্য সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলির সৃষ্টি করেছে সেই প্রকল্পগুলির প্রচার করা হবে স্টুডেন্ট উইক কর্মসূচীর মাধ্যমে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, ঐক্যশ্রী এবং প্রি অ্যান্ড পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ ইত্যাদি। পুস্তক বণ্টন এবং মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে এই কর্মসূচির প্রচার চালাতে হবে।
আরও পড়ুন – Eshram card : এই ভাবে আবেদন করলে, ৩০০০ টাকা করে পাবেন ই-শ্রম কার্ড থাকলে।
২-৮ জানুয়ারি প্রতি দিন বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা করে এই কর্মসূচি (Students Week) চলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্কুলগুলিতে এই কর্মসূচি পালন করতে হবে। জেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচিটি সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা সেই দিকে নজর রাখতে হবে জেলাশাসককে। আবার জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের উদ্যোগ নিতে হবে এই Students Week কর্মসূচির বিষয়ে।
তবে শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশকে সমালোচনা করেছে বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রিয় শৈক্ষিক মহাসংঘের নেতা অনুপম বেরা রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে দুর্নীতি হয়েছে তার নিরিখে বলতে পারি রাজ্য সরকারের যে কোনও প্রকল্পের প্রচার করা মানে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির প্রচার করা। আর গত বার ভোটের সময়ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই ধরনের প্রচার করেছিল শিক্ষা দফতর।
আবার লোকসভা ভোট আসছে বলে, সেই একই ধরনের প্রচার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ছাত্রদের মধ্যে শুরু করিয়েছেন। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই ধরনের প্রচার করা কাম্য নয় বলেই আমরা মনে করি।” আবার বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি স্বপন মণ্ডল যা বললেন তা হল, “সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA awareness) না দিয়ে সেই অর্থে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি চলছে। তাই আমার মনে হয় রাজ্য সরকারের এই বিষয়টিও তুলে ধরা উচিত যে শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থের বিনিময় এই প্রকল্পগুলো চালানো হচ্ছে।”
এই বিষয়ে বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির কড়া সমালোচনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। তাদের তরফ থেকে কার্যকরী সভাপতি বিজন সরকার জানিয়েছেন যে, “রাজ্য সরকার চাইছে তাদের শুরু করা প্রকল্পগুলির সুবিধা রাজ্যের সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে। কোনও ছাত্র-ছাত্রী যদি প্রকল্প প্রসঙ্গে জানতে না পারেন তা হলে তিনি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
সেই বঞ্চনা যাতে কোনও ছাত্র-ছাত্রীকে স্পর্শ না করতে পারে, সেই ভাবনা থেকেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে সরকারি সুযোগ-সুবিধা (Government Shemes) পৌঁছে দিয়ে তাদের প্রকৃত ভাবে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া। তাই বিরোধী সংগঠনের বন্ধুদের বলব সব কিছুর মধ্যে বিরোধিতা না দেখে ইতিবাচক দিক দেখার চেষ্টা করুন।”
আরও পড়ুন – CBSE বোর্ডের দশম-দ্বাদশের পরীক্ষার রুটিন এক নজরে দেখে নিন।