WBCHSE Exam অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সিস্টেমে বড়সড়ো পরিবর্তন ঘটতে চলেছে! বিস্তারিত জেনে নিন
WBCHSE Exam – শিক্ষা জীবন নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। শিক্ষা ছাড়া জীবনে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমেই জীবনের উচ্চতর লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। এককথায় শিক্ষা হল জীবনের মূল চাবিকাঠি। তাই প্রত্যেকের জন্যই শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
যে কোনো ছাত্রছাত্রীর জীবনে প্রথম অন্যতম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক (Madhyamik Exam), আর তার পরের বড় পরীক্ষা হল উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা (WBCHSE Exam). এই পরিক্ষার ফলাফলের উপরেই প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত নির্ভর করে। তাই এই বড় পরিক্ষায় ভাল ফল করা অত্যন্ত জরুরী। যাতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত সুন্দর হয়।
এবার থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (WBCHSE Exam) বড়ো পরিবর্তন আসতে চলেছে। রাজ্যে খুব শীঘ্রই নতুন শিক্ষা নীতি আসতে চলেছে। প্রতি বছর প্রায় ৯-১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। এবার এই পরীক্ষাতেই বড়োসড়ো রদ বদল হতে চলেছে। পরিক্ষা সংক্রান্ত এই বদলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (WBCHSE) সংসদ কি পরিবর্তন আসতে চলেছে বিস্তারিত জেনে নিন-
সুত্রে খবর এবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (WBCHSE Exam) দুটি সেমিস্টারে হবে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এবার উচ্চমাধ্যমিকেও সেমিস্টার ( HS Semester) ভিত্তিতে পঠন-পাঠন চালু ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ শিক্ষা সংসদ.
১) উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বছরে দুবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে।
২) প্রথম সেমিস্টারটি অবজেক্টিভ টাইপ হবে।
৩) দ্বিতীয় সেমিস্টারটি সাবজেক্টিভ টাইপ হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইতিমধ্যেই বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে সেমিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক (HS Exam) পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি পেলেই আগামী ২০২৩ ২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের হাতে নিজেদের নম্বর বাড়িয়ে নেওয়ার অনেকটা সুযোগ থাকবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্ত আগামীদিনে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন সেমিস্টার পদ্ধতি বিদেশে বেশ জনপ্রিয়। দেশে-বিদেশে তিনটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হয়। সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হলে পরীক্ষার্থীদের সব থেকে বেশি সুবিধা হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে পরিক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের একটি পরীক্ষা খারাপ হলেও পরীক্ষার্থীদের হাতে পুনরায় নিজেদের নম্বর বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
এসব দিক বিবেচনা করেই সেমিস্টার পদ্ধতির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেমিস্টার সিস্টেম চালু হলে বার্ষিক একটি পরীক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে ছয় মাসের ব্যবধানে পরীক্ষার্থীদের দুটি পরীক্ষা দিতে হবে। প্রথমে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হলে এরপর একাদশ শ্রেণির জন্যও একই ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে উচ্চ শিক্ষা সংসদ (WBCHSE).
ফের নয়া নির্দেশিকা জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! নতুন কি নির্দেশিকা জারি করল জেনে নিন