Advertisement

অবশেষে টেট উত্তীর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ পাওয়া গেল।

Advertisement

টেটের মেধা তালিকা উত্তীর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। তদন্তের পর থেকে পাহাড় সম দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম জড়িত রয়েছে। টেট পাস না করেও দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়ে অনেক শিক্ষক শিক্ষকতা করছেন এমন প্রমাণও মিলেছে।

এমনকি ইতিমধ্যেই কিছু শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছে। এই সব দুর্নীতির মধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ এর প্রাথমিকের টেটের মেধা তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।পর্ষদের তরফে গত ১১ ই নভেম্বর তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ।

Advertisement

প্রার্থীদের নামের তালিকা দেখেই নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিতর্কের কারন হল পর্ষদের প্রকাশিত ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্ৰী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের নাম।পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী , দিলীপ ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকী পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পালের নাম রয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক পাশে বন্ধন ব্যাংক এ হাজার হাজার শুন্যপদে কর্মী নিয়োগ।

নামের তালিকা দেখে রাজনৈতিক মহলে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের টেকনিক্যাল টিম তরফে পর্ষদকে জানানো হয় যে এই নামগুলো সঠিক। অর্থাৎ ২০১৪-এর প্রাথমিকের টেটে এই নামেই আবেদন এসেছিল। তাই কোনও অনিয়মের অভিযোগ খারিজ করে দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

চাকরি প্রার্থীদের তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম দেখে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠেছিল। এবার সেই টেট পাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ পাওয়া গেল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে নাম, বাবার নাম এবং নম্বর প্রকাশ করার পর থেকেই ফোনের চাপে জর্জরিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত ফোন পেয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি নিজের মুখ খুললেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমি কোন ভুয়ো প্রার্থী নই। আমার বাড়ি বাঁকুড়ায়। ২০১৪ সালের প্রার্থী লিস্টে আমার নাম রয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সম্পর্ক নেই। পর্ষদের তালিকায় আমার বাবার নামও রয়েছে। পর্ষদের তরফে আমার যাবতীয় তথ্য আমি দিয়েছি।

কিন্তু এখনও চাকরি পাইনি। এখন আমার বয়স ৩২ বছর। তিনি বলেন আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে প্রাথমিকে চাকরি পাব। সেই আশাতেই দিন গুনছি যে কবে চাকরি পাব।
এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবরের আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Sunita Mallick.

আমার কর্মদিশা মাধ্যমে বাংলার ঘরে ঘরে চাকরি দেবে সরকার, কিভাবে আবেদন করবেন জানুন।

Leave a comment

Join Join