ট্রেনের বগি কখনও লাল, কখনও নীল রং কেন হয় জানেন কি?
ভারতীয় রেলওয়েতে দেশের বেশিরভাগ লোক যাতায়াত করে। ট্রেন এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে একাধিক মানুষ একসঙ্গে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ট্রেনে ভ্রমণ করা সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক হয়। আমরা সকলেই কখনও না কখনও ট্রেনে যাত্রা করেছি। কিন্তু ট্রেনের এমন অনেক তথ্যই আছে যা আমরা অনেকেই জানি না। যেমন ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করেন।
কয়েকটি বগি নিয়ে তৈরি একটি ট্রেনকে কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা হয়। ট্রেনে বগিও বিভিন্ন ধরণের হয়, যেমন এসি কোচ, স্লিপার কোচ এবং জেনারেল কোচ। এছাড়া ট্রেনে অনেক সময় লাল, নীল ও সুবজ তিনটে আলাদা আলাদা রঙের বগিও দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই রঙের অর্থ কী?
১) লাল রঙের কোচের অর্থঃ-
ইঞ্জিনের সঙ্গে লেগে লাল রঙের কোচ বা বগিকে বলা হয় লিংক হফম্যান বুশ (এলএইচবি)। এই কোচগুলি ২০০০ সালে জার্মানি থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। তবে এখন পঞ্জাবের কাপুরথালায় এগুলি তৈরি করা হয়। এগুলি অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি হয় যার ফলে এগুলি ওজনে বেশ হালকা হয়। এসব কোচে ডিস্ক ব্রেক লাগানো থাকে। এই কারণে এই রঙের ট্রেন ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার গতি দেয়। এগুলি ব্যবহৃত হয় রাজধানী এবং শতাব্দীর মতো দ্রুত চলমান ট্রেনগুলিতে। তবে এখন সব ট্রেনে এলএইচবি কোচ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
২) নীল রঙের কোচের অর্থঃ-
বেশিরভাগ ট্রেনের রং নীল হয়। এই নীল রঙের কোচটিকে বলা হয় ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ)। এগুলো লোহার তৈরি হয় এবং এগুলিতে ব্যবহার করা হয় এয়ার ব্রেক। এই কোচ গুলি তৈরি করা হয় চেন্নাইতে অবস্থিত ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আইসিএফ)। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন এর জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে লিঙ্ক হফম্যান বুশ।
৩) সবুজ রঙের কোচের অর্থঃ-
গরিব রথ ট্রেনে ব্যবহার করা হয় সবুজ রঙের কোচ এবং মিটার গেজ ট্রেনে ব্যবহার করা হয় বাদামি রঙের কোচ।বিলিমোরা ওয়াঘাই প্যাসেঞ্জার একটি ন্যারোগেজ ট্রেন, যেটি হালকা সবুজ কোচ ব্যবহার করে। তবে কোনও কোনও সময় এতে ব্যবহার হয় ব্রাউন কোচ।