Lakshmir Bhandar Scheme: বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্রত্যেক মানুষ স্বাবলম্বী হতে চায়। আর্থিক দিক থেকে পরিবারকে সাহায্য করতে চায়। তাই পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্দেশ্যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Scheme) মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারের মহিলাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তখন বাংলার মহিলাদের মাসিক আয় সুনিশ্চিত করার কথাও তিনি বলেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করতে ১লা সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে চালু হয়েছে ‘লক্ষীর ভান্ডার’প্রকল্পটি (Lakshmir Bhandar Scheme) । রাজ্যের ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সব মহিলারা এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটির সুবিধা পান।
রাজ্য সরকারের গৃহীত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Scheme) মাধ্যমে বাড়ির গৃহবধূদের মাসিক ৫০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সাধারণ ও ওবিসি জাতিভুক্ত মহিলাদের দেওয়া হয়ে মাসিক ৫০০ টাকা ও তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতিভুক্ত মহিলাদের দেওয়া হয়ে মাসিক ১,০০০ টাকা। চলতি মাসের (আগস্ট) আর্থিক সাহায্যের আশায় বসে রয়েছেন প্রকল্পের আওতাধীন মহিলারা।
এরই মধ্যে ব্যাঙ্ক একাউন্ট সংক্রান্ত এক ঘোষণার ফলে উদ্বীগ্ন হয়ে রয়েছেন তারা। কারন সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, কয়েকটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাবেন না। আর তা নিয়েই রীতিমত ভয়ে রয়েছে রাজ্যের মহিলারা। কোন কোন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Scheme) অধীনে টাকা পাবেন না মহিলারা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে।
এই সমস্যার কারণ কি?
RBI বা রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশ অনুসারে, দুটি ব্যাংক মিলিত হয়ে একটি ব্যাংক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, এমন অনেক ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ব্যাঙ্কগুলিতে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থাকলে তাদের IFSC কোডটি পরিবর্তিত হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে আবেদনকারীরা যখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন, সেই সময় তাদের IFSC কোড বা নম্বর এবং ব্যাঙ্ক এর নাম পরিবর্তিত হয়নি। কিন্তু পরে দুটি ব্যাংক মিলিত হয়ে ব্যাঙ্কের নাম বদলে যায়। সেক্ষেত্রে পুরনো IFSC নম্বর পাল্টে যায়। IFSC নম্বরের মাধ্যমে NEFT, RTGS, IMPS এবং নেট ব্যাংকিং সহ অন্য কাজগুলি করা সম্ভব হয় না। তাই তারা এই প্রকল্পের আর্থিক অনুদান পাবেন না।
এই সমস্যার সমাধান কি?
নতুন ব্যাঙ্কের থেকে পাওয়া পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স এবং নতুন IFSC নম্বর ইত্যাদি নথি BDO অফিসে জমা করতে হবে। তবেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়া যাবে।
কোন কোন ব্যাঙ্ক মিলিত হয়েছে দেখে নিনঃ-
১) Oriental Bank of Commerce United Bank of India এই দুটি ব্যাংক মিলিত হয়ে ‘Punjab National Bank’ নামে গঠিত হয়েছে।
2) Andhra bank এবং Corporation bank এই দুটি ব্যাংক মিলিত হয়ে বর্তমানে ‘Union Bank of India’ নামে গঠিত হয়েছে।
৩) Vijaya Bank এবং Dena Bank এই দুটি ব্যাংক মিলিত হয়ে বর্তমানে ‘Bank of Baroda’ নামে পরিচিতি। (Lakshmir Bhandar Scheme)
8) Allahabad Bank বর্তমানে Indian Bank নামে পরিচিত। এছাড়া Syndicate Bank বর্তমানে Canara Bank নামে পরিচিত।
যে সকল মহিলাদের এই সব ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ছিল,সেই সব ব্যাংকে বর্তমানে IFSC কোডটি পরিবর্তিত হয়েছে। তাই সকল মহিলাদের অবশ্যই তাদের নিজের IFSC কোডটি B.D.O অফিসে জমা করতে হবে। নয়তো চলতি মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তারা পাবেন না। আপনিও কি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের একজন উপভোক্তা? এই সব ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকলে এক্ষুনি পরিবর্তিত IFSC কোডটি B.D.O অফিসে জমা করুন নয়তো চলতি মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আর পাবেন না।