বিধানসভায় DA নিয়ে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্ৰী! কি বললেন বিস্তারিত জেনে নিন।

Advertisement

West Bengal DA News: শহিদ মিনারের পাদদেশে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।কেন্দ্রের সমতুল্য পরিমাণ DA-র দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মীরা।আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বিগত ২০ এবং ২১ শে ফেব্রুয়ারি গোটা রাজ্য জুড়ে কর্ম বিরতি চলেছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সরকারি কর্মীদের প্রতি কড়া অবস্থানে অনড় রয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই কড়া অবস্থানকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীরা আগামী ১০ই মার্চ গোটা রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাদের ন্যায্য পাওনা বকেয়া ডিএ-র দাবিতে হাল ছাড়তে নারাজ। ধর্মঘটের সিদ্ধান্তেই অনড় রাজ্য সরকারি কর্মীরা।

Advertisement

রাজ্য সরকারি কর্মীদের আন্দোলন ঠেকাতে রাজ্য সরকার একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নিলেও কোন লাভ হয়নি। ডিএ নিয়ে যৌথ মঞ্চ রাজ্য সরকারের উপর চাপ প্রবল তৈরি করেছে। প্রথমে ডিএ-র 0পরিমাণ ৩ শতাংশ এবং পরে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে, মোট ৬ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে বর্তমান সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন- Apon Bangla Card – এবার বাংলার নতুন কার্ড ‘আপন বাংলা’, দেখুন কি কি সুবিধা আছে ও কি ভাবে আবেদন করবেন।

কিন্তু তাতেও সন্তুষ্টি নয় সরকারি কর্মী মহ। তাই সরকারি কর্মী মহল নিজেদের দাবিতে অনড়। রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক দিন দুন ক্রমশ অবনতির পথে যাচ্ছে।

এবার DA নিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চে উপস্থিত হন। সেখানে উপস্থিত হয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবিকে তিনি সমর্থন করেন।বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাদের অবস্থান বিক্ষোভকে সমর্থন করে জানান যে আন্দোলনের পাশে তারা আছে। শুধু তাই নয়, আগামী ১০ মার্চের ধর্মঘটকেও সমর্থন জানান বিজেপি নেতা।

অন্যদিকে সোমবার বিধানসভা কক্ষে দাঁড়িয়ে ডিএ ইস্যুতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন “তৃণমূলের আমলে (প্রথমে) ৯৯ % এবং পরে (দু’দফায়) ৬% ডিএ দেওয়া হয়েছে। ১০৫ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মূখ্য মন্ত্রী জানান যখন কোনও পরিবার তৈরি হয়। তার সব দায়িত্ব দেখেই পরিকল্পনা করা হয়। কেন্দ্রের ও রাজ্যের কর্মীদের পে স্কেল আলাদা। সিপিএম বড় বড় কথা বলেছে, সাথে কংগ্রেস ও বিজেপি জুড়েছে।ওদের ধার করে যাওয়া ঋণ আমাদের শোধ করতে হয়।

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সুবিধার কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ত্রিপুরা-উত্তরপ্রদেশের তুলনায় অনেক বেশি ছুটি এবং সুযোগ সুবিধা পান পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ছুটির সঙ্গেও এ রাজ্যের ছুটি কাঠামোর তুলনা টানেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার কত দিন ছুটি দেয়?কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ ডিসেম্বরে ছুটি দেয় না,আর পুজোতে মাত্র একদিনই ছুটি থাকে। আর আমরা দুর্গাপুজোয় দশ দিন ছুটি দিই। ছট পুজোয় ছুটি দিই, আর কী চাই?

আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আগামী ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। আর এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনের নামে কোনও রকম ধর্মঘট রাজ্য সরকার বরদাস্ত করবে না। এমনকি সরকারি সূত্রে খবর রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Advertisement

Leave a comment