নিউজ ডেস্কঃ দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের সুবিধার্থে নয়া ই-শ্রম পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্র।২৬ আগস্ট পথচলা শুরু হয়েছে এই পোর্টালের।এই পোর্টালের মাধ্যমে নির্মাণ শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিক, হকার, পরিচারকের মতো দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফ থেকে।দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের নাম ও তথ্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও চালু হয়ে গিয়েছে।দেশে এই প্রথম এমন একটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা শ্রমিকদেরকে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যুক্ত করবে।তবে ই-শ্রম পোর্টালে নাম নথিভুক্তির আগে আগ্রহীদের এর সুবিধাগুলি সম্পর্কে জানতে হবে।তা নাহলে ভবিষ্যতে এর দ্বারা পুরোপুরি উপকৃত হওয়া যাবে না।
ই-শ্রম রেজিস্ট্রেশন:
Gig Worker কিনা নিশ্চিত করুনঃ-
eShram পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের আগে গিগ কর্মী কারা সেটা জানতে হবে আপনাকে।কারণ eShram পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের সময় আগ্রহীরা প্রথমেই এই প্রশ্নের মুখে পড়ছেন।ইতিমধ্যেই এই প্রশ্নটির উত্তর জানিয়ে দিয়েছে সরকারি সংস্থা CSCeGov ।তারা নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলের মাধ্যমে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে কারা এর আওতায় পড়বেন। স্বাধীন চুক্তিকারী, প্রাতিষ্ঠানিক, চুক্তিভিত্তিক, আহূত বা অন-কল এবং অস্থায়ী কর্মীরা সকলেই গিগ কর্মী পরিচয়ের আওতায় পড়বেন।গিগ কর্মী হিসেবে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন ক্যাব চালক থেকে শুরু করে খাবার সরবরাহকারী, যানবাহন সাফাইকারি প্রভৃতি পেশার সাথে জড়িত মানুষ।আবেদনের সময় নিজের জন্য উপযুক্ত বিকল্প বেছে নিতে হবে।
ই-শ্রমে নাম নথিভুক্ত করতে জন্মের তারিখ, মোবাইল নম্বর, শহর, গ্রাম বা সোশ্যাল ক্যাটিগরি, আধার নম্বর, আধারের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের প্রয়োজন পড়বে।তবে যে সমস্ত শ্রমিকের কাছে আধারের সাথে সংযুক্ত মোবাইল নম্বর নেই, তারা নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।রেজিস্টার্ড শ্রমিকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে বা বিকলাঙ্গ হয়ে গেলে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য করা হবে। আংশিক বিকলাঙ্গ হলে মিলবে ১ লক্ষ টাকা।
তাহলে দেখে নিন কীভাবে ই-শ্রম কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেনঃ
১) প্রথমে eShram পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (eshram.gov.in) ওপেন করুন।
২)এরপর হোমপেজে, ‘ই-শ্রমে রেজিস্ট্রেশন এ করুন ক্লিক করুন।
৩)এরপর আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ও মোবাইল নম্বর-সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।
৪)তারপর send OTP বিকল্প বেছে নিন।
৫)এরপর সাইটে যে নির্দেশগুলি দেখাবে সেগুলি অনুসরণ করুন।